রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার তার এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় বলে জানান আদালতে কোতোয়ালী থানার প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী।
এদিন মহিনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান। তিনি আদালতকে জানান, মহিন জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছেন। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে প্রথম দফায় ১০ জুলাই পাঁচ দিনের এবং দ্বিতীয় দফায় ১৫ জুলাই আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে ছিলেন মহিন।
প্রকাশ্য সড়কে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার এই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন—টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু এবং মাহমুদুল হাসান মহিন।
এর মধ্যে গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই সজীব আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। রাজিব বেপারী রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন। বাকিরা এখনও রিমান্ডে রয়েছেন।
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে।
হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হত্যায় অংশ নেওয়া ও নেপথ্যে থাকা সবাই সোহাগের পূর্ব পরিচিত। একসময় তারা তার ব্যবসায় সহযোগী ছিলেন। ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যা পরিচিতজনদেরও কল্পনার বাইরে ছিল।