জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে মাহতাব, মামার অনুরোধ দোয়ার

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউর ১১ নম্বর বেডে জীবন-মৃত্যুর লড়াই করছে মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহতাব আহমেদ।

৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া মাহতাবকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মামা মহিবুল হাসান শামীম। বুধবার বেলা ৩টায় হাসপাতালের প্রবেশ গেটের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

শামীম বলেন, “আমার ভাগ্নে মারা গেছে বলে কেউ কেউ গুজব ছড়িয়েছে, এটা ঠিক নয়। আমার ভাগ্নে এখনও বেঁচে আছে, লাইফ সাপোর্টে আছে। আমি দুপুর দেড়টার দিকে ভেতরে গিয়ে দেখে এসেছি। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন আমার ভাগ্নেকে বাঁচাতে। সে আমার দিকে তাকিয়েছে।”

কুমিল্লার দেবিদ্বারের ছেলে মাহতাব তার ক্লাসে তৃতীয় স্থান অধিকারী ছিল বলে জানান শামীম।

তিনি বলেন, “আমার ভাগ্নে ভালো ছাত্র, নম্র-ভদ্র। সবাই তাকে ভালোবাসে। সেদিন টিভিতে বিমান দুর্ঘটনার খবর দেখে আমরা খোঁজ করা শুরু করি। পরে জানতে পারি সেনাবাহিনী তাকে বার্ন হাসপাতালে এনেছে। এখনো এখানেই চিকিৎসা নিচ্ছে। সবাই দোয়া করবেন তার জন্য।”

ঢাকার মতো জনবহুল শহরে কেন প্রশিক্ষণ বিমান উড়বে– সেই প্রশ্ন রেখে শামীম বলেন, “সরকারের কাছে অনুরোধ, বিমান প্রশিক্ষণের জন্য বিকল্প ভাবুন। আর যেন এমন দুর্ঘটনা না হয়। আর যেন কোনো মা-বাবাকে কাঁদতে না হয়।”

সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এতে এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।