২০২৫–২৬ করবছরের প্রথম দিনে অনলাইনে ১০,২০২ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল

২০২৫-২৬ করবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের প্রথম দিনেই ১০ হাজার ২০২ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এর আগের করবর্ষে প্রথম দিনে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছিলেন মাত্র ২,৩৪৪ জন। সে হিসাবে এবার প্রথম দিনেই ই-রিটার্ন দাখিল বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। যদিও গত বছর সবার জন্য অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক ছিল না।

সোমবার ২০২৫-২৬ করবর্ষের জন্য ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এরপর থেকেই করদাতারা www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের রিটার্ন তৈরি করে অনলাইনে জমা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত ৩ আগস্ট এনবিআর এক আদেশে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করে। তবে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কিংবা মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধির জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়।

কারিগরি সমস্যার কারণে কেউ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের অনুমতি নিয়ে কাগুজে রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

গত বছর ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, তফশিলি ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ, ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সে বছর প্রায় ১৭ লাখ করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেন।

ই-রিটার্ন দাখিল করতে করদাতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধিত কি না, তা আগে যাচাই করতে হবে। যাচাইয়ের জন্য ১৬০০১ নম্বরে ডায়াল করতে বলা হয়েছে।

ঘরে বসেই করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদসহ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাপ ব্যবহার করে কর পরিশোধ করতে পারবেন। দাখিলের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তিস্বীকার পত্র ও আয়কর সনদও প্রিন্ট করে নেওয়ার সুযোগ থাকছে।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে কোনো সমস্যা হলে এনবিআরের কল সেন্টারে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক সমাধান পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।