গুলশানে সাবেক এমপির বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
চার দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জামসেদ আলম সেটি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন।
এই মামলায় অপুর আগে প্রধান আসামি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলাটিতে রিয়াদ ও অপু ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং এক অপ্রাপ্তবয়স্ক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই নেতাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে এবং কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় রিয়াদ ও অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা আদায় করেন তারা। পরবর্তীতে একাধিকবার গিয়ে অবশিষ্ট ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং না দিলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
২৬ জুলাই বিকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে। ওই সময় অপু পালিয়ে যান, পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।