দেশে বর্তমানে নির্বাচন আয়োজনের মতো পরিস্থিতি নেই। এখন ভোট হলে সেনাবাহিনীকে “বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া” হবে বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার
মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে বঞ্চনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
“এখন নির্বাচন বিপদ ডেকে আনবে”
ফরহাদ মজহার বলেন, “আমি সামনে বাংলাদেশে অনেক বিপদ চিহ্ন দেখছি। সেদিক থেকে আমাদের অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। যদি বাংলাদেশে আমরা সকলে একমত হয়ে নির্বাচন না করি, তাহলে এটা বিপদের দিকে আমরা বাংলাদেশকে ঠেলে দেব।”
তিনি দাবি করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা সেনাবাহিনীর জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।
“লুটেরা শ্রেণিকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা”
নির্বাচনের বিরোধিতা করে ফরহাদ মজহার বলেন, “আমরা নির্বাচনবিরোধী। কারণ নির্বাচন করে আমরা লুটেরা মাফিয়া-শ্রেণিকে, যারা বিভিন্নভাবে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে, তাদেরকে আপনারা আবার বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসাতে চান।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র কায়েম রেখে আপনারা লুটেরা শ্রেণিকে আবার ক্ষমতায় বসাতে চান, এটা আমরা বরদাশত করব না।”
তিনি সেনাবাহিনীর শক্তিশালী ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীকে উপেক্ষা করে করিডোর দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
“চার দিন স্বাধীন ছিলাম”
গত বছরের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে ফরহাদ মজহার বলেন, “৫ তারিখ থেকে ৮ তারিখ আমরা স্বাধীন ছিলাম। শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে ছিলাম না।”
তিনি বলেন, “সেই রক্ত দিয়ে অর্জিত ক্ষমতা আমরা শেখ হাসিনার হাতে আবার সমর্পণ করেছি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে ফরহাদ মজহার বলেন, “আপনি দেশে ফিরে আসুন। আমরা আপনার সাথে রাজনীতি করব।”
তিনি তরুণদের প্রতি তারেকের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে বলেন, “আপনি তরুণদের বিরুদ্ধে দলকে লেলিয়ে দিচ্ছেন, এটা খুবই অন্যায়।”
ফরহাদ মজহার সেনাবাহিনীর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “সেনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র আমরা আর সহ্য করব না। সেনা প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করবেন না।”
জনশক্তি সভার আয়োজিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম জিয়াউল হাসান, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, লেখক ইমরান চৌধুরী ও মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহীন।
সভাপতিত্ব করেন জনশক্তি সভার সভাপতি সাদেক খান, সঞ্চালনা করেন দেওয়ান সাজ্জাদ।