পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সম্পর্ক সম্প্রসারণে পাকিস্তানি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় অত্যন্ত আগ্রহী। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে।
শুক্রবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় জাম কামাল বলেন, “আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে যৌথ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই দশটির বেশি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। আরও প্রতিনিধি দল আসবে।”
তিনি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে এসে অংশগ্রহণ এবং পাকিস্তানের জাতীয় প্রদর্শনীগুলোতে (এক্সপো) অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। দুই দেশের মধ্যে বন্দর সংযোগ, মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি ও বাণিজ্য ঘাটতি বিষয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাহাজে পণ্য পরিবহন ক্ষেত্রে সময় ও খরচ কমানোর ব্যবস্থা স্বাগত।
পাকিস্তানি মন্ত্রণালয় উভয় দেশের বিমান চলাচল চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। “আশা করি, পাকিস্তানি বিমান চলতি বছরের শেষে বাংলাদেশে আসতে পারবে এবং বাংলাদেশ থেকেও যাত্রা করবে। এটি দুই দেশের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, “পাকিস্তান থেকে আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি তুলনামূলক কম। সাফটা ও ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করা, ননট্যারিফ বাধা হ্রাস ও বিটুবি সংযোগ উৎসাহিত করে বাণিজ্য বৃদ্ধি সম্ভব।”
প্রচলিত তৈরি পোশাক শিল্পের বাইরে ফার্মাসিউটিক্যাল, হেলথকেয়ার, চামড়া, আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, শিপবিল্ডিং ও এগ্রো-ফুড প্রসেসিং খাতের বিনিয়োগ ও সহযোগিতার সুযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগে পাকিস্তানি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আগ্রহী। তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষ দিকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে।
চট্টগ্রামে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় জাম কামাল বলেন, “দশটির বেশি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে এসেছে এবং আরও দল আসবে। ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসুন, দেখুন ও অংশগ্রহণ করুন।”
তিনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও জাতীয় প্রদর্শনীতে (এক্সপো) অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। বন্দর সংযোগ, মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি ও পণ্য পরিবহনে সাশ্রয়ী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
মন্ত্রী বলেন, বিমান চলাচল চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে পাকিস্তানি বিমান বাংলাদেশে আসতে পারবে এবং উভয় দেশের মানুষের সংযোগ সহজ হবে। ২৪ অগাস্ট জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শিক্ষার্থী বিনিময়, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প ও অন্যান্য খাতের রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, “উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ আকর্ষণে ননট্যারিফ বাধা হ্রাস, সাফটা ও ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করা প্রয়োজন।”
ফার্মাসিউটিক্যাল, হেলথকেয়ার, চামড়া, আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, শিপবিল্ডিং ও এগ্রো-ফুড প্রসেসিং খাতেও বিনিয়োগ ও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। সভায় বিভিন্ন সরকারি ও ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য রাখেন।