নীলফামারী ইপিজেডে শ্রমিক-বাহিনী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে একটি কারখানা বন্ধের জেরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন, অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনা মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এভারগ্রিন কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভের পর শুরু হয়।

নিহত হাবিবুর রহমান ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামে নিটিং কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাজীরহাট গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে। গুরুতর আহত পাঁচজনকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীরুল ইসলাম জানান, মোট ছয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল, হাবিবুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, বাকিরা চিকিৎসাধীন।

নিহতের ঘটনা এবং বিক্ষোভের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো ইপিজেড এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইপিজেডের ভিতরে প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা কারখানা মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। নীলফামারীর ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম বদরুদ্দোজা বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো ধরনের দাঙ্গার সুযোগ নেই। ইপিজেডের সব কারখানা আপাতত বন্ধ রয়েছে।”