চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হল সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ২২ জন প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে চারটি ছাত্রী হলে ২১ জন এবং একটি ছাত্র হলে একজন একক প্রার্থী রয়েছেন।
রোববার রাতে হল ও হোস্টেল সংসদে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রকাশ করা খসড়া প্রার্থী তালিকায় এ তথ্য জানা যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, ছাত্রী হলে ২১ জন এবং ছাত্র হলে একজন প্রার্থীর বিপরীতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তবে এসব প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন কি না, তা ২৫ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর জানা যাবে।
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, রোববার প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা এবং ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২৪ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর।
নির্বাচন কমিশনের খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ছাত্রীদের পাঁচটি হলের মধ্যে একমাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে ১৪টি পদের প্রত্যেকটিতে নির্বাচন হতে পারে। অন্য চারটি হলের বিভিন্ন পদে ২১ জন একক প্রার্থী রয়েছেন। আর ছাত্রদের শাহজালাল হলে একটি পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি একক প্রার্থী ছাত্রীদের নওয়াব ফয়েজুন্নেসা হলে। ১৪টি পদের মধ্যে এ হলে জিএস, এজিএস ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ছাড়া প্রতিটি পদেই একক প্রার্থী। এ হলে ১৩ আদিবাসী ও একজন বড়ুয়া ছাত্রী মিলে ‘হৃদ্যতার বন্ধন’ নামে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে।
বিজয়-২৪ হলে খেলাধুলা ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে একক প্রার্থী রয়েছেন। প্রীতিলতা হলে খেলাধুলা ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে একক প্রার্থী আছেন।
শামসুন নাহার হলে দপ্তর সম্পাদক, রিডিং রুম, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদক, সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক এবং তিনটি নির্বাহী সদস্য পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।
অন্যদিকে ছাত্রদের শাহজালাল হলে রিডিং রুম, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদক পদে একক প্রার্থী পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হল সংসদ নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর এবং মাস্টার দা সূর্য্য সেন হল ছাড়া বাকি সাতটি ছাত্র হলে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির। এছাড়া ছাত্রীদের প্রীতিলতা হলে ইসলামী ছাত্র সংস্থা পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে।