উত্থান-পতন, হিট-ফ্লপ, দেশে-বিদেশে বিশাল ভক্তকূল— কী পাননি তিন দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে। এই তো কয়েকদিন আগেই জাতীয় পুরস্কারও পেলেন। এতকিছু যার অর্জন, সেই ‘বলিউড বাদশা’ শাহরুখ খানের নাম এবার উঠল সবচেয়ে ধনী তারকাদের তালিকায়।
সম্প্রতি প্রকাশিত হুরুন ইন্ডিয়ার ধনী তালিকা ২০২৫ এর তথ্য বলছে, ৩৩ বছর ধরে বলিউড দাপিয়ে আসা শাহরুখ এখন বলিউডের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা। শুধু তাই নয়, তার নাম বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনেতাদের তালিকায়ও স্থান পেয়েছে। এই দফায় ‘কিং খান’ পেছনে ফেলেছেন টেইলর সুইফট, আরনল্ড শোয়ার্জনেগার, সেলেনা গোমেজের মত তারকাদের। শাহরুখ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২,৪৯০ কোটি রুপি।
ভারতীয় তারকাদের মধ্যে শাহরুখ খানের পরই রয়েছেন অভিনেত্রী জুহি চাওলা এবং পরিবার। তাদের রয়েছে ৭,৭৯০ কোটি রুপি সম্পদ। এছাড়া অভিনেতা হৃতিক রোশন ২,১৬০ কোটি, নির্মাতা করণ জোহর ১,৮৮০ কোটি এবং বলিউড কিংবদন্তী অমিতাভ বচ্চনের রয়েছে ১,৬৩০ কোটি রুপির সম্পদ।
২০২৪ সালে করণ জোহর তার প্রযোজনা সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশনের ৫০ শতাংশ শেয়ার ১১৯ মিলিয়ন ডলারে ভারতের শীর্ষ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোটিপতি আদর পুনাওয়ালার কাছে বিক্রি করে সংবাদ শিরোনামে আসেন।
শুধু সিনেমায় অভিনয় থেকেই আয় করেন না শাহরুখ খান। ৫৯ বছর বয়সী অভিনেতার ব্র্যান্ড ভ্যালু, কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন, প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ প্রোডাকশন, ভিএফএক্স স্টুডিও, আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দুবাই ও মধ্যপ্রাচ্যের সম্পত্তি— সবকিছুই তাকে ঠাঁই করে দিয়েছে বিলিয়নেয়ার ক্লাবে।
হুরুন ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান গবেষক আনাস রহমান জুনায়েদ বলেছেন, “মূলত রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট এবং নাইট রাইডার স্পোর্টসে অংশীদারত্বই খানকে কোটিপতির মর্যাদা এনে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, শাহরুখ খানের বিলিয়নেয়ার ক্লাবে জায়গা করে নেওয়া ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তিগুলোর পরিবর্তনেরই প্রতিফলন। “ভারতীয় অর্থনীতি যখন পরিপক্ক হচ্ছে এবং সম্পদ সৃষ্টির পরবর্তী পর্যায়ে যাচ্ছে, তখন আমরা উৎপাদন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং ব্যাংকিংয়ের মতো প্রথাগত ক্ষেত্রগুলোর বাইরে নতুন নতুন খাতের উত্থান দেখছি। খেলাধুলা, বিনোদন এবং আইপিভিত্তিক ব্যবসা এখন ভারতে সম্পদ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।”
এই বছর ভারতের মোট বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৩৫০ জন ছাড়িয়েছে। হুরুন ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, বিলিয়নেয়ার মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি শীর্ষ দুটি স্থান ধরে রেখেছেন।