আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে সামরিক বহরে হামলা চালানো ৩০ জঙ্গিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।
মঙ্গলবার খাইবার পাখতুনখোয়ার ওরাকজাই জেলায় পাকিস্তানি সামরিক বহরে ওঁৎ পেতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় নয় সেনা সদস্য ও দুই কর্মকর্তা নিহত হন। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলার দায় স্বীকার করে।
শুক্রবার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে তীব্র গুলি বিনিময়ের পর সন্ত্রাসী হামলাটিতে জড়িত ভারতীয় মদদপুষ্ট ৩০ খারিজি (জঙ্গি) সবাইকে নরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
ওরাকজাইয়ের জামালা মায়া এলাকায় অভিযানটি পরিচালিত হয় বলে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
মে মাসে ভারত ও পাকিস্তান কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামাবাদ অভিযোগ করছে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের অর্থায়ন ও মদদ রয়েছে। তবে নয়াদিল্লি এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে।
পাকিস্তান আরও অভিযোগ করছে, টিটিপি সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে আশ্রয় নিচ্ছে এবং পাকিস্তানে হামলার পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ আফগান ভূখণ্ডেই দেওয়া হচ্ছে। তবে কাবুলের তালেবান সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন নেটো বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের পর তালেবান প্রশাসন কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বশেষ বিবৃতি আসে কাবুলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর। এ সময় আফগান তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফরে ছিলেন। তালেবান ক্ষমতা পুনর্দখলের পর এটিই ভারতে কোনো ঊর্ধ্বতন তালেবান কর্মকর্তার প্রথম সফর।
বৃহস্পতিবার কাবুলে বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করেছে তালেবান প্রশাসন। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা তারা জানায়নি। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে কাবুল প্রশাসন।