পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভেতরে ঢুকে পড়া ১২টি ভারতীয় ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
বুধবার ভারত প্রতিবেশী দেশের ভেতরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর একদিন পর বৃহস্পতিবার এ দাবি করে পাকিস্তান। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সীমান্তসংলগ্ন ভারতীয় রাজ্য রাজস্থান ও পাঞ্জাবে উচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। রাজস্থানের গঙ্গানগর থেকে গুজরাটের কচ্ছের রণ পর্যন্ত সীমান্ত বরাবর আকাশপথে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান নিয়ে টহল দিচ্ছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। ওই অঞ্চলে ড্রোন বিধ্বংসী ব্যবস্থাও মোতায়েন করেছে ভারত।
চলমান এই টানটান উত্তেজনার মধ্যে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরি অভিযোগ করেন, ভারত গত রাতে করাচি ও লাহোরসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হারোপ ড্রোন পাঠিয়েছে। সেগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘনকে তিনি “আরেকটি নির্লজ্জ সামরিক আগ্রাসন” বলে অভিহিত করেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। লাহোরের ওয়াল্টন বিমানবন্দরের কাছে একটি ড্রোন ভূপাতিত হয়, যেটি আবাসিক এলাকার ভেতরে একটি সামরিক স্থাপনাসংলগ্ন বিমানক্ষেত্র। এটি ভারতের সীমান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরিফ চৌধুরির বরাত দিয়ে জানা গেছে, ভারতের আরেকটি ড্রোনের হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চার সদস্য আহত হয়েছেন। লাহোরের কাছে একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আংশিকভাবে আঘাত হানে ড্রোনটি। এছাড়া সিন্ধুর মিয়ানোতে আরেকটি ড্রোন হামলায় একজন বেসামরিক নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
লাহোর, আটক, গুজরানওয়ালা, চাকওয়াল, রাওয়ালপিন্ডি, বাহওয়ালপুর, মিয়ানো, চোর ও করাচির কাছে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানান আইএসপিআর প্রধান।
আপনি কি এই প্রতিবেদনটি নির্দিষ্ট কোনো আউটপুট ফরম্যাটে চাইছেন (যেমন ওয়েব, প্রিন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া)?
