চলতি নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে আরও দুই থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব লঘুচাপের মধ্যে অন্তত একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
রোববার নভেম্বর মাসের জন্য প্রকাশিত দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসেই দেশের কোথাও কোথাও এবং নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। সেটি প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপে এবং পরে আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। ২৬ অক্টোবর সকাল ৬টায় নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরের দিন রাত ৩টায় এটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোনথা’য় রূপ নেয়।
২৮ অক্টোবর সকাল ৬টায় মোনথা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। ওই রাতেই এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ১৩ অক্টোবর রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা থেকে বিদায় নেয় এবং ১৪ অক্টোবর সারা দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিদায় ঘটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী অক্টোবর মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হলেও চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট বিভাগে ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
৩১ অক্টোবর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ ১৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসেও দেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
অক্টোবরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফেনীতে রেকর্ড করা হয়, ২১ ও ২২ অক্টোবর সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে ১৪ অক্টোবর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নভেম্বর মাসে দেশের কোথাও কোথাও এবং নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া মাসজুড়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেলেও, তা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকতে পারে।