কুড়িগ্রাম-৪ আসনে দুই ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা: বিএনপি-জামায়াতের ভিন্ন পতাকায় রৌমারীর নির্বাচনি মাঠ উত্তপ্ত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী–চিলমারী–রাজীবপুর) আসনে দুই ভাই ভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রার্থী হয়ে আলোচনায় এসেছেন। একজন বিএনপি থেকে, অন্যজন জামায়াতে ইসলামী থেকে লড়ছেন—যা এখন স্থানীয় রাজনীতিতে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে।

সোমবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষ থেকে ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেন। এতে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জন্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন রৌমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিজুর রহমান

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী একই আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে রৌমারী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে, যিনি আজিজুর রহমানের ছোট ভাই।

এই দুই ভাইয়ের মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন রৌমারী-চিলমারী-রাজীবপুর জুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত, সর্বত্র এই দুই ভাইয়ের রাজনৈতিক লড়াই নিয়েই চলছে আলোচনা।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭১১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯২ জন, এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯ জন

একজন স্থানীয় প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মী বলেন, “রৌমারী-চিলমারী-রাজীবপুরের ইতিহাসে এর আগে এমন কিছু ঘটেনি। ভাইয়ের বিপরীতে ভাই দাঁড়ানো নির্বাচনি রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছে।”

জামায়াতের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, “আমার বড় ভাই বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি চূড়ান্ত প্রার্থী হলেও আমি আশাবাদী—কারণ বর্তমানে জামায়াতের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। দুই ভাই প্রার্থী হলেও ভোটে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।”

অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী আজিজুর রহমান জানান, “আমার ছোট ভাই একসময় বিএনপির রাজনীতিতেই যুক্ত ছিল। আমার সহযোগিতায় সে প্রতিষ্ঠিত হয়, পরে জামায়াতে যোগ দেয়। এখন সে ওই দলের প্রার্থী হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার প্রার্থী হওয়ায় এলাকাবাসী উৎসাহিত। আমাকে প্রার্থী ঘোষণা না করলে আমার ছোট ভাই হয়তো পারিবারিক ইমেজের সুবিধা পেত। কিন্তু জনগণ আমাকে চায়—এটাই আমার শক্তি।”