তরুণ নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে বিএনপি ‘গডফাদারদের’ মনোনয়ন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, বিএনপির যেসব তরুণ নেতা মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের এনসিপিতে স্বাগত জানানো হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে দলের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তিনটি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একটি আসনে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গ টেনে এনসিপির সংবাদ সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “এটা একটা দুঃখজনক ঘটনা। বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫০ শতাংশ তরুণ। আমরা আশা করেছিলাম, বিএনপির প্রার্থী তালিকায় তরুণ নেতৃত্বের উত্থান ঘটবে। কিন্তু তাদের তালিকা আমাদের হতাশ করেছে। বেশিরভাগ জায়গায় এসেছে গডফাদার শ্রেণির নেতারা। যারা ছাত্রদল, যুবদলের তরুণ কর্মী বা নতুন রাজনীতির প্রতিনিধিত্ব করতে পারতেন, তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সেই বঞ্চিত তরুণ নেতাদের আমাদের দলে স্বাগত জানাই। আসুন, আমরা একসাথে তারুণ্যনির্ভর রাজনীতি গড়ে তুলি। আমরা তাদের এনসিপি থেকে মনোনয়ন দেওয়ার কথাও বিবেচনা করব।”
তবে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তারেক রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি, তারেক জিয়া দেশে ফিরছেন। আমরা তাকে স্বাগত জানাই। যদি তিনি আগেই আসতেন, তা হলে আরও ভালো হতো। আসুন, আমরা গণতন্ত্রের অনুশীলন করি, আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান খুঁজি।”
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, “গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি থেকে লড়াই করে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন—এটা প্রশংসনীয়। আমরা এখনো তাকে বিএনপির প্রকৃত নেতা হিসেবেই দেখি এবং আমাদের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।”
পাটওয়ারী আরও বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে আজ তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন। তাই এই জুলাই আন্দোলনের সংস্কারকেও খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে অভিবাদন জানানো উচিত।”
