অস্ত্রবিরতি মেনে চলার অঙ্গীকার; সতর্ক ও প্রস্তুত ভারতের সশস্ত্র বাহিনী

অস্ত্রবিরতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিলেও ভারতের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, তারা ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ এবং ‘সদা-সতর্ক’ থাকবে। ভবিষ্যতে পাকিস্তান যদি উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে ‘চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়ার’ মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তারা।

সরকারি এক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর কমোডোর রঘু আর নায়ার বলেন, “আজ পৌঁছানো বোঝাপড়া আমরা দৃঢ়ভাবে মেনে চলবো, তবে পুরোপুরি প্রস্তুত অবস্থায় থাকা বজায় রাখবো ও সদা-সতর্ক থাকবো এবং মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো। পাকিস্তানের প্রতিটা দুঃসাহস শক্তির সঙ্গে মোকাবেলা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতের প্রতিটি বাড়াবাড়ি একটি চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়াকে আমন্ত্রণ জানাবে। আমাদের জাতির প্রতিরক্ষায় যেকোনো ধরনের অভিযানের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত অবস্থায় আছি।”

তিনি আরও বলেন, পাহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের প্রতিক্রিয়া ‘পরিমিত’ ও ‘দায়িত্বশীল’ ছিল।

পাকিস্তান প্রচুর ‘ভুল তথ্য’ প্রচার করেছে বলে দাবি করেন এই সামরিক কর্মকর্তা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কোরেশি বলেন, পাকিস্তান দাবি করেছে তাদের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ভারতের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির ক্ষতিসাধন করেছে, যা সম্পূর্ণ ভুল।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান অভিযোগ করেছে ভারতীয় বাহিনী মসজিদের ক্ষতিসাধন করেছে, যা বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন। তার ভাষায়, “ভারত একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র এবং আমাদের বাহিনী আমাদের সাংবিধানিক মূল্যবোধ প্রতিফলিত করে।”

ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের স্থল ও বিমান সম্পদের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলেও জানান তিনি।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, ভারতের সামরিক অভিযানগুলোতে কেবল ‘সন্ত্রাসী শিবির’ এবং যেসব স্থাপনা ‘ভারতবিরোধী তৎপরতায়’ ব্যবহৃত হতো, সেগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *