টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চান বিরাট কোহলি—এমন একটি খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল দিন দুয়েক আগে। ‘নিতে চান’ ব্যাপারটি এখন হয়ে গেছে ‘নিয়ে ফেলেছেন।’ সাচিন টেন্ডুলকার পরবর্তী যুগের ভারতের সবচেয়ে বড় তারকা, খেলোয়াড়ি জীবনেই যিনি হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি, সেই কোহলিকে আর দেখা যাবে না ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে।
সামাজিক মাধ্যমে সোমবার কোহলি জানিয়ে দেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত। ভারতীয় বোর্ডকে তিনি কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন বলেই খবর শোনা গিয়েছিল। আগামী মাসের ইংল্যান্ড সফরে তাকিয়ে বোর্ড তাকে ফেরানোর চেষ্টা করছে বলেও জানা গিয়েছিল। এমনকি টেন্ডুলকারকে দিয়ে অনুরোধ করা হবে, এমন খবরও উঠে এসেছিল। সেসব আদৌ কতটা হয়েছে, তা নিশ্চিত নয়। তবে কোহলির বিদায় এখন নিশ্চিত।
অধিনায়ক রোহিত শার্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পাঁচ দিন পর কোহলির এই সিদ্ধান্ত এলো। গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথেই অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের গত এক যুগের আরেক মহীরূহ রাভিচান্দ্রান অশ্বিন।
তুমুল জনপ্রিয় ও দারুণ সফল এই ৩৬ বছর বয়সী তারকাকে এখন শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে ওয়ানডে ক্রিকেটে, যে সংস্করণে তার রেকর্ড সবচেয়ে সমৃদ্ধ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ওই সংস্করণেও রোহিতের সঙ্গে ভারতীয় দল থেকে বিদায় নেন তিনি। ২০ ওভারের ক্রিকেটে আইপিএলে অবশ্য তিনি খেলছেন দারুণ সাফল্যের সঙ্গে এবং খেলে যাবেন।
কোহলির বিদায়টিই নিশ্চিতভাবে সবচেয়ে বেশি নাড়া দেওয়ার মতো। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব ভালো না হলেও বিদায়ের তেমন কোনো আভাস ছিল না। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, গত মাসখানেক ধরেই বোর্ডের সঙ্গে অবসর নিয়ে আলোচনা চলছিল তার। ইংল্যান্ডে মহাগুরুত্বপূর্ণ সফরে তাকে পেতে মরিয়া ছিল টিম ম্যানেজমেন্টও। কিন্তু তার কাছে যদিও এটিকেই মনে হচ্ছে উপযুক্ত সময়।
তার বিদায়ী বার্তায় মিশে থাকল তৃপ্তি, ভালো লাগা আর কৃতজ্ঞতার বার্তা।