গত নভেম্বর থেকে তরল দুধের দাম ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে। ব্র্যাকের ‘আড়ং’, প্রাণ ও মিল্কভিটার মতো ব্র্যান্ডগুলো ইতিমধ্যে তাদের প্যাকেটজাত দুধের দাম বাড়িয়েছে। বর্তমানে আড়ংয়ের স্ট্যান্ডার্ডাইজড দুধের আধা লিটার প্যাকেট ৫৫ টাকা, এক লিটার ১০০ টাকা, পাস্তুরিত দুধের আধা লিটার ৬০ টাকা এবং এক লিটার ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিল্কভিটার আধা লিটার প্যাকেট ৫৫ টাকা ও এক লিটার ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২১ সালে এক লিটার পাস্তুরিত দুধের দাম ছিল ৭০-৭৫ টাকা, যা গত বছর ৯০ টাকায় উঠেছিল। সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধির পর দাম লিটারে ১০০-১০৫ টাকায় পৌঁছেছে। মিল্কভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল ইসলাম জানান, খামারিদের কাছ থেকে দুধের ক্রয়মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়াতে হয়েছে। বর্তমানে ৪% ফ্যাটযুক্ত দুধের ক্রয়মূল্য লিটারপ্রতি ৬১ টাকার বেশি, যা প্রক্রিয়াজাতকরণের পর ৮২ টাকায় পৌঁছেছে।
দুধের দাম বাড়ায় ভোক্তারা ক্রয় কমিয়ে দিচ্ছেন। অনেক খুচরা বিক্রেতা বিক্রি কমার কথা জানিয়েছেন। পুষ্টিবিদরা সতর্ক করেছেন, দুধ কম খাওয়ার ফলে পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন মানুষের দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা উচিত।
দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ১ কোটি ৫২ লাখ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়, তবে চাহিদা ১ কোটি ৫৬ লাখ টনের বেশি। বাকিটা গুঁড়ো দুধ আমদানি করে পূরণ করা হয়। গুঁড়ো দুধের দামও আগের তুলনায় বেড়ে কেজিপ্রতি ৬৫০-৮৫০ টাকা হয়েছে। এছাড়া দই, মাখনসহ অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্যের দামও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।