গ্যাস–সংকট সত্য, সমাধান আজ সন্ধ্যার মধ্যে: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

শিল্পকারখানায় গ্যাস–সংকটের বিষয়টি সত্য বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি জানান, বিদেশ থেকে এলএনজি দেশে পৌঁছালেও সমুদ্রের উত্তাল পরিস্থিতির কারণে জাহাজটি ডক করতে পারছে না। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজ শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

শনিবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় টাওয়েল টেক্স লিমিটেড কারখানার গ্যাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি কারখানায় এসে জানান, সব এলাকাতেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তিতাসের যেসব কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বড় পরিসরে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে এলএনজি নিয়ে একটি জাহাজ এসেছে, তবে উত্তাল সমুদ্রের কারণে সেটি ডকিং করা যায়নি। এখন ডকিং হচ্ছে এবং বিকেলের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন। এ সময় তিনি কারখানার মালিককে বলেন, ‘আমি গ্যাস পরিস্থিতি দেখেছি, সন্ধ্যায় জানাবেন কোনো উন্নতি হয়েছে কি না।’

টাওয়েল টেক্স লিমিটেডের পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, চলতি মাসে কারখানায় গ্যাস–সংকট তীব্র হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা নয়, অন্তত ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন।

এ সময় তিতাস গ্যাসের এমডি পারভেজ আহমেদ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইফুল ইসলাম এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আজিম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার বিভিন্ন শিল্পকারখানার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আরও দুই-এক দিন আগেই সমস্যার সমাধান সম্ভব হতো, কিন্তু সমুদ্র উত্তাল থাকায় গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এখন সমস্যা কেটে গেছে, গ্যাস সরবরাহ বাড়ছে। ইতিমধ্যে ৫০ এমএমসিএফডি সরবরাহ বেড়েছে, আরও ১০০–১৫০ এমএমসিএফডি বাড়বে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের চলমান দাবি ও আন্দোলনের বিষয়ে তিনি জানান, আগামীকাল একটি সভা হবে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে, এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে এবং দ্রুত সমাধান হবে। মিছিল-মিটিং করে কোনো লাভ নেই, বরং এতে ক্ষতি হয়। এর আগে প্রায় ২৬–২৭টি স্থানে আন্দোলনকারীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল, যা ছিল নাশকতামূলক। এজন্য সরকার কিছু ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।