পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বাড়তি ১৫ মিনিট সময় দিয়ে। শনিবার বিকাল সোয়া ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় ফল গণনার প্রস্তুতি।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিরতিহীনভাবে ২০২৫-২৭ মেয়াদের নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন সদস্যরা। বিকাল সোয়া ৫টায় ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন ভোটকেন্দ্রের প্রবেশমুখে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল জানান, “কোনো ভোটার থাকলে আমরা তাকে ঢুকতে দেব।” কিন্তু তার এ আহ্বানে কেউ সাড়া না দেওয়ায় তিনি বলেন, “সোয়া ৫টা বাজে। কোনো ভোটার পেলাম না।”
এরপর তিনি চলে গেলে পুলিশ সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেন। নির্বাচন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৩৭৭ জন, যা মোট ভোটারের ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ। এখানে ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৫৬৪ জন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ২৫৪ জন, যেখানে ভোটার ছিলেন ৩০৩ জন; ভোটার উপস্থিতি ৮৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বিজিএমইএ প্রশাসক ও ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, ফলাফল যথাসম্ভব কম সময়ে প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীদের ধারণা, দুই কেন্দ্রের ফল সংগ্রহ ও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
এই নির্বাচনে ৩৫টি পরিচালক পদে লড়ছেন তিনটি প্যানেলের মোট ৭৬ জন প্রার্থী। নির্বাচিত পরিচালকরা প্রথম সভায় বিজিএমইএ সভাপতি, সহসভাপতিসহ অন্যান্য দায়িত্ব ঠিক করবেন।
এবারের নির্বাচনে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে— সম্মিলিত জোট, ফোরাম প্যানেল ও ঐক্যজোট পরিষদ। স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ঢাকার কেন্দ্রে বড় পর্দায় প্রতি মুহূর্তের ভোটের সংখ্যা প্রদর্শন করা হয়।
পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সাত মাসের বেশি সময় পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় প্রশাসক ও ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে। নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল।
এবার শুধুমাত্র সচল কারখানার উদ্যোক্তাদের ভোটার করা হয়, ফলে আগের তুলনায় ভোটার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৬৪ জন— ঢাকায় ১ হাজার ৫৬১ জন ও চট্টগ্রামে ৩০৩ জন। আগের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২ হাজার ৪৯৬ জন।
প্রার্থীদের তালিকা
সম্মিলিত পরিষদ (ঢাকা):
আবুল কালাম, ফারুক হাসান, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, আসিফ আশরাফ, মশিউল আজম সজল, মোস্তাজিরুল শোভন ইসলাম, আশিকুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. নুরুল ইসলাম, সৈয়দ সাদিক আহমেদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. শাহদাৎ হোসেন, মহিউদ্দিন রুবেল, রেজাউল আলম মিরু, আবরার হোসেন সায়েম, মোহাম্মেদ কামাল উদ্দীন, সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর, তামান্না ফারুক থিমা, মির্জা ফায়েজ হোসেন, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, লিথি মুনতাহা মহিউদ্দিন, এ কে এম আজিমুল হাই, মাঞ্জুরুল ফয়সাল হক, এস এম মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান।
সম্মিলিত পরিষদ (চট্টগ্রাম):
এস এম আবু তৈয়ব, রাকিবুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ মুসা, অঞ্জন কুমার দাশ, নাফিদ নবি, সৈয়দ মোহাম্মেদ তানভীর, মোস্তফা সারোয়ার রিয়াদ, মো. আবসার হোসেন, গাজী মো. শহীদ উল্লাহ।
ফোরাম প্যানেল (ঢাকা):
মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, কাজী মিজানুর রহমান, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, ইনামুল হক খান, হাসিব উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ, ভিদিয়া অমৃত খান, মোহাম্মদ আব্দুল রহিম, শাহ রাঈদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম, এ বি এম শামছুদ্দিন, নাফিস উদ দৌলা, সুমাইয়া ইসলাম রোজালিন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মজুমদার আরিফুর রহমান, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, ফাহিমা আক্তার, আসেফ কামাল পাশা, রশীদ আহমেদ হোসাইনী, রুমানা রশীদ, সামিহা আজিম, রেজোয়ান সেলিম, ফয়সাল সামাদ।
ফোরাম প্যানেল (চট্টগ্রাম):
সেলিম রহমান, মোহাম্মদ সাইফ উল্যাহ মানসুর, মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী, এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাকিফ আহমেদ সালাম, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, মির্জা আকবর আলী চৌধুরী, রিয়াজ ওয়াইজ।
ঐক্যজোট পরিষদ:
মোহাম্মদ মহসিন, দেলোয়ার হোসাইন, খালেদ এমডি ফয়সাল ইকবাল, এ কে এম আবু রায়হান, এমডি মহসিন অপু, শেখ এরশাদ উদ্দিন।