অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের জামিন মঞ্জুর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস এম আনোয়ারা বেগমকে জামিন দিয়েছেন আদালত। জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলায় তাঁকে গত বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। ষাটোর্ধ্ব এই অধ্যাপককে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) গতকাল রোববার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়।

আজ সোমবার অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের জামিন চেয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান ৫০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আনোয়ারা বেগমের আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম।

জামিন আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আনোয়ারা বেগমের বয়স ৭০ বছর এবং তিনি ৩৫ বছর ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি একজন নারী, অসুস্থ এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, তিনি জামিন পাওয়ার উপযুক্ত। জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে বক্তব্য দেয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার দায়ের করা এক হত্যাচেষ্টা মামলায়। মামলাটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সূত্রাপুর থানায় দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই রায়সাহেব বাজারের স্টার হোটেলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আন্দোলনকারী ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গুলি চালানো হয়। এতে সুজন মোল্লার বাঁ চোখে গুলি লাগে এবং রক্তক্ষরণ হয়। অভিযোগে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায়।

অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।