বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিশ্ববাজার থেকে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত (ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল, অকটেন) জ্বালানি তেল আমদানি করে। বর্তমানে নির্ধারিত মূল্যের (ট্যারিফ ভ্যালু) ভিত্তিতে শুল্ক পরিশোধ করে বিপিসি। প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি শুল্ক আরোপের ভিত্তি পরিবর্তন করে ইনভয়েস ভ্যালুর ওপর শুল্ক আদায়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই পরিবর্তনের ফলে বিপিসির আমদানি খরচ বাড়তে পারে। তবে খরচ স্থিতিশীল রাখতে অপরিশোধিত তেলের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ এবং পরিশোধিত জ্বালানি তেলের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে সামগ্রিক শুল্ক আদায়ের পরিমাণ পূর্বের মতো থাকতে পারে। তবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে অনুপাতে শুল্ক আদায়ও বাড়বে এবং বিপিসির খরচ বাড়বে।
বাজেট প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে ট্যারিফ মূল্য অনুযায়ী শুল্ক কার্যকর রয়েছে। বর্তমানে আমদানি মূল্য ট্যারিফ মূল্যের চেয়ে বেশি। কাস্টমস আইন অনুযায়ী, বেশি মূল্যে আমদানি হলে সেটির ভিত্তিতেই শুল্কায়ন করতে হয়। বেসরকারি খাত ইতিমধ্যে ইনভয়েস ভ্যালু অনুযায়ী শুল্ক দিয়ে আসছে, কিন্তু বিপিসি এখনো ট্যারিফ ভ্যালু অনুযায়ী শুল্ক দেয়। এতে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের অংক বাড়লেও তা পরিশোধ করছে না বিপিসি। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এমনভাবে শুল্কায়নের অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে রাজস্ব আয় আগের মতো থাকে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রস্তাবিত এই শুল্ক কাঠামোর ফলে বিপিসির খরচ তেমন না বাড়লেও বেসরকারি খাতে আমদানি খরচ কমবে। কারণ, তারা আগে থেকেই কেনা দামে শুল্ক দেয়, এখন হার কমানোয় তাদের ব্যয় আরও কমে যাবে।