রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদার জামিন নামঞ্জুর

জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিএনপির করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে তাঁর জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব। শুনানি শেষে বিচারক সেফাতুল্লাহ জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান গত ২২ জুন শেরে বাংলা নগর থানায় এই মামলা করেন।

মামলায় ২০১৪ সালের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ তাঁদের সময়কার নির্বাচন কমিশনারদের আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে।

মামলার দিনই পুলিশ নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৭ জুন আবার চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।

দুই দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে গায়েবি মামলা, গুম, খুন ও নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, “সংবিধান লঙ্ঘন, আচরণবিধি ভঙ্গ, সরকারি কর্মচারী হয়েও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট সম্পন্ন করাসহ ভোটারবিহীনভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত ঘোষণা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।”

বলা হয়েছে, এসব ঘটনার সাক্ষী নির্বাচনী এলাকার ভোটার, যারা ভোট দিতে পারেননি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় জনগণ। ব্যালট পেপারে থাকা সিল ও স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটদাতা শনাক্ত করে তদন্তে সত্য উদঘাটন সম্ভব।

মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নূরুল হুদার পর ২৫ জুন সাবেক আরেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে রোববার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।