স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে অনুষ্ঠিত হলে স্বৈরাচার ও তাদের সহযোগীরা দেশে পুনর্বাসিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারা সংবিধান লঙ্ঘন করে তিনবার অবৈধ সরকার গঠন করেছে। এই লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের আগামী দিনের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা জানতে চায় গণতন্ত্রকামী জনগণ।’
তারেক রহমান বলেন, ব্লেম গেম চালিয়ে দায় এড়ানো যাবে না। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ভবিষ্যতে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সংসদ ও সরকার গঠনের পক্ষে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে একটি পরিকল্পিত পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যেখানে নির্বাচনের দাবি তোলা যেন অপরাধ। এ ধরনের মন্তব্য পলাতক স্বৈরাচারকে উত্সাহ দেয়।’
দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে রয়েছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘তবুও সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কেন সময় নিচ্ছে, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন বাড়ছে।’ এ সময় তিনি জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের এবং এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।