গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে রাজনৈতিক দলগুলোর ছাড় প্রত্যাশা: আলী রীয়াজ

রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে সংলাপে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে জোটটি ১১২টিতে একমত, ২৬টিতে একমত নয় এবং ২৮টিতে আংশিক একমত হয়েছে বলে জানান দলের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তার নেতৃত্বে জোটের ১১ জন নেতা সংলাপে অংশ নেন।

আলী রীয়াজ বলেন, গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য হলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে। আশা করি, জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রশ্নে ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠায় সবাই কিছুটা ছাড় দেবে। আমরা সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে তা জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত জরুরি। আমাদের একত্রিত হতে হবে। সব বিষয়ে একমত না হলেও রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, একটি অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘসময় থাকলে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এমন একটি ভোটের ব্যবস্থা হোক যেখানে মানুষ নিশ্চিত হতে পারে—আমার ভোট কেউ কিনতে পারেনি, কেউ জোর করেনি, আমি নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার গঠন করেছি।’

বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *