রংপুরের তারাগঞ্জে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, চারজন গ্রেপ্তার

রংপুরের তারাগঞ্জে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে ছিলেন রুপলাল দাস (৪০) ও প্রদীপ লাল (৩৫)। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে নিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বালাপুর এলাকার এবাদত হোসেন (২৭), বুড়িরহাট এলাকার আক্তারুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৩৩) এবং রহিমাপুরের মিজানুর রহমান (২২)। পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি, ভিডিও বিশ্লেষণ ও স্থানীয়দের তথ্য মিলিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতেও অভিযান চলছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন—ঘটনায় জড়িত কেউ পার পাবেন না।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার ছরান বালুয়া এলাকা থেকে ভাগনির স্বামী প্রদীপ লালকে নিয়ে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন রুপলাল দাস। পথে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা মোড়ে স্থানীয় কয়েকজন তাদের পথরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় প্রদীপের কাছে থাকা কালো ব্যাগ তল্লাশি করে একটি পানীয় বোতল ও ওষুধ পাওয়া যায়। বোতলের ঢাকনা খোলার পর দুর্গন্ধে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা রুপলাল ও প্রদীপকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে গিয়ে গণপিটুনি দেয়। পরে তাদের তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, যেখানে রুপলালকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে প্রদীপের মৃত্যু হয়।