সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামানোর চেষ্টা চালাচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

সরকার যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরও কমিয়ে ১৫ শতাংশে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩৭ শতাংশ থেকে ধাপে ধাপে কমিয়ে বর্তমানে ২০ শতাংশে এনেছে। এই হার আরও কমানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চলছে এবং আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, “এটা পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নয়। যাঁরা শুল্ক আরোপ করেছেন, তাঁদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে। তবে প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র সফর কিংবা অনলাইন বৈঠক—যা যা দরকার, আমরা করব।”

উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা এবং টেকনিক্যাল জটিলতা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৩ হাজার ৮০০ পণ্যের আমদানি শুল্ক শূন্য থেকে ১ শতাংশের মধ্যে এবং খাদ্যপণ্যের শুল্ক প্রায় শূন্য—এ তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি আমদানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন কিছু করিনি যা আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”

ভারতের পাটপণ্য রপ্তানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সমুদ্রবন্দর হয়ে রপ্তানি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, ফলে সামগ্রিক বাণিজ্যে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।