হত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি পাঁচ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ্ ফারজানা হক এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. এরফান খান আফ্রিদিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়, পরে এজলাসে তোলা হয়।

আফ্রিদির আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে বলেন, “তৌহিদ আফ্রিদি আওয়ামী লীগের কেউ নন। বাদী এফিডেভিট দিয়ে জানিয়েছেন, ভুল তথ্যে মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই।”

রাষ্ট্রপক্ষে মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি আফ্রিদিকে ‘মিডিয়া সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “তিনি লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের হত্যা করতে উৎসাহিত করেন। রিমান্ডে নিলে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনা ও সম্পৃক্ততা জানা যাবে।” শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রোববার রাতে বরিশাল থেকে সিআইডির একটি দল আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি জানান, বাংলা বাজার এলাকার পপুলার ডায়াগনষ্টিক ল্যাবের পাশের একটি ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়, পরে ঢাকায় আনা হয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আফ্রিদি স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সেলিব্রেটিদের মাধ্যমে আন্দোলন বন্ধের প্ররোচনা দেন, দ্বিমতকারীদের হুমকি দেন এবং লাইভে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন। তদন্তে উঠে এসেছে, তার এমন কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আসাদুল হক বাবু নিহত হন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৫ অগাস্ট যাত্রাবাড়ীতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া মো. আসাদুল হক বাবু গুলিবিদ্ধ হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন ৩০ অগাস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়, যার মধ্যে নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিও আছেন।

এর আগে রোববার আফ্রিদির বাবা নাসির উদ্দিন সাথীকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর শনিবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।