রামপুরার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা : ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ চারজন পলাতক আসামিকে আত্মসমর্পণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

রামপুরায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামি ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৪ জনকে আত্মসমর্পণ করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এই মামলায় তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলো হলো—গণ-অভ্যুত্থানের সময় ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা যুবক আমির হোসেনকে গুলি করা হয়। গুলিটি বাসিত খান মুসার (৭) মাথা ভেদ করে চলে যায় এবং এতে তাঁর দাদি মায়া ইসলাম মারা যান। একই দিন রামপুরায় মো. নাদিম নামের আরও এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়।

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর ছাড়াও এই মামলার আসামি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান এবং রামপুরা থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়াকে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।

আজকের শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মামলায় মোট পাঁচ আসামি। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে।

এই মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এর আগে ১০ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল-১। সেদিন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পলাতক ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।