পাবনায় মাকে নির্যাতনের ঘটনায় ছেলে–বউমাসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় মাকে মাটিতে ফেলে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে ছেলে ও ছেলের স্ত্রীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হাঁপানিয়া রামচন্দ্রপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম, তার স্ত্রী সোনলী খাতুন (৩৫), শ্যালক মনিরুজ্জামান টিপু, শ্যালিকা ফরিদা খাতুন ও মুর্শিদা খাতুন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে। ভিডিওতে দেখা যায়, ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাকে প্রথমে পুত্রবধূ সোনলী খাতুন মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে মারধর করছেন। পরে ছেলে নজরুল ইসলাম গলা টিপে ধরেন এবং এক পর্যায়ে মাকে তুলে আবার মাটিতে ফেলে দেন। এ সময় নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধা চিৎকার করে কাঁদছিলেন।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাঁথিয়ার সচেতন মহলের প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন রানা বলেন, “নিজ মাকে এমন অমানবিকভাবে নির্যাতন করতে পারে, ভিডিওটি না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) রিজু তামান্না জানান, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে স্থানীয়দের বাধার মুখে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

সাঁথিয়া থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিত বৃদ্ধার আরেক ছেলে ফজলুল হক বাদী হয়ে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার পাঁচজনকে রোববার দুপুরের মধ্যে আদালতে তোলা হবে।