তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

এক উপদেষ্টার সাবেক এপিএস, আরেক উপদেষ্টার পিও এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক সাবেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে দুর্নীতির অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই অভিযোগে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকেও সাময়িক অব্যাহতি পান এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীর।

তাদের বিরুদ্ধে কেনাকাটায় অনিয়ম, বদলি বাণিজ্য এবং পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনায় ‘কমিশন বাণিজ্যের’ মতো অভিযোগ রয়েছে।

রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা অনুসন্ধানের পর প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।”

গত ২৭ এপ্রিল তাদের দুর্নীতির বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরুর তথ্য জানায় দুদক। সেদিন সকালে ‘যুব অধিকার পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন মিছিল নিয়ে দুদক কার্যালয়ে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের দাবি তোলে এবং একটি স্মারকলিপি দেয়।

একই দিন বিকালে মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসান এবং সাবেক পিও তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে ‘শত শত কোটি টাকার’ দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনুসন্ধানের আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী।

গত ২২ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, যদিও উপদেষ্টা তাকে ৮ এপ্রিলই অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ২১ এপ্রিল এনসিপি থেকে গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তার নাম উঠে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *