চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, হিথ্রোতে আবেগঘন বিদায়

চার মাস লন্ডনে চিকিৎসা শেষে বড় ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের সদস্যদের আবেগঘন বিদায়ের মধ্যে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তার সঙ্গে দেশে ফিরছেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে বিমানবন্দরে নিয়ে যান। গাড়িতে ছিলেন তারেকের মেয়ে জায়মা রহমানও।

বিদায় জানাতে হিথ্রো বিমানবন্দরে ভিড় করেন বিএনপির প্রবাসী নেতাকর্মীরা। টার্মিনালে আবেগঘন পরিবেশের মধ্যে হুইলচেয়ারে বসা খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান ও নাতনি জায়মা রহমান।

২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময় দেশ ছাড়ার পর থেকে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান লন্ডনে রয়েছেন। ১৭ বছর পর শাশুড়ির সঙ্গে দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান। তবে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সময় এখনো নিশ্চিত নয়।

বিদায়ের সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত দলের কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, “ভাইয়াকে দেখে রেখো।”

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে গত ৭ জানুয়ারি তিনি লন্ডনে যান।

সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৭ দিন ক্লিনিকে থাকার পর ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডন থেকে দোহা হয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার দিন ঢাকা মহানগর পুলিশ বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে। গুলশান/বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত রাস্তা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।

দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, চেয়ারপারসনের বাসায় যাওয়ার পথে দলীয় নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানাতে হবে।

নেতাকর্মীদের দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। গাড়িবহরের সঙ্গে মোটরসাইকেল বা পায়ে হেঁটে চলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *