ফিফার শাস্তিতে চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা, বেনিন শীর্ষে

নানা আলোচনা-সমালোচনার পর দক্ষিণ আফ্রিকার শাস্তি ঘোষণা করেছে ফিফা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিষিদ্ধ খেলোয়াড়কে খেলানোয় দলটির পয়েন্ট কেটে নেওয়ার পাশাপাশি জরিমানাও করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা।

ঘটনাটি গত মার্চের। ঘরের মাঠে লেসোথোর বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে ‘ভুলবশত’ তেবেহো মোকোয়েনাকে খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ‘সি’ গ্রুপে আগের দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় নিয়ম অনুযায়ী ওই ম্যাচে নিষিদ্ধ ছিলেন এই মিডফিল্ডার।

ফিফা সোমবার জানিয়েছে, তাদের শৃঙ্খলা কমিটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। দলটির ৩ পয়েন্ট কেটে নেওয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে। আর ওই ম্যাচে লেসোথোকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার আশায় লেগেছে চোট। তাদের টপকে গ্রুপের শীর্ষে উঠেছে বেনিন। দুই দলের পয়েন্ট সমান ১৪ হলেও গোল পার্থক্যে বেনিন এগিয়ে আছে। গ্রুপ ফেভারিট নাইজেরিয়া ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে তিনে আছে, রুয়ান্ডার সমান ১১ পয়েন্ট তাদের। বাকি আছে আর দুই রাউন্ড।

গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। গ্রুপ রানার্সআপের সুযোগ যদিও শেষ হয়ে যাবে না। তবে এজন্য প্লে-অফের কঠিন বাধা পার হতে হবে তাদের।

নিয়ম অনুযায়ী, যদি ফিফার একই প্রতিযোগিতায় কেউ পরপর দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেন তো পরের ম্যাচে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ থাকবেন। যদি কোনো দল যোগ্য নয় (নিষেধাজ্ঞার কারণে, নিবন্ধন জটিলতা, জাতীয়তা ইত্যাদি) এমন খেলোয়াড় খেলায়, তাহলে ম্যাচ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে। অথবা ম্যাচটিতে ওই দল ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত বলে বিবেচিত হবে, যদি ফল তাদের জন্য আরও বাজে না হয়।

নিজেদের ভুলের কথা জানতে পেরে খুবই বিব্রত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দেশটি দাবি করে, যেহেতু প্রতিপক্ষ আপত্তি জানায়নি, তাদের পয়েন্ট কাটা যাবে না।

বাছাইপর্ব যেহেতু শেষের দিকে, তাই ফিফার সিদ্ধান্ত জানার জন্য উন্মুখ হয়ে অপেক্ষায় ছিল গ্রুপের অন্য দলগুলো। সিদ্ধান্ত জানাতে দেরি হওয়ায় এই মাসের শুরুতে বেনিন কোচ গের্নট রোয়া হতাশা প্রকাশ করেছিলেন প্রকাশ্যেই।

নিয়মিত বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে প্রায় সাত মাস সময় নিল ফিফা।