চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ চার মাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে বের হয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা পতাকা নেড়ে দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা জানান।
স্বাগত জানাতে আসা নেতা-কর্মীদের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও বিএনপির দলীয় পতাকা ছিল। কেউ হাতে ফুল, কেউ ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, কেউ-বা খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরে ছিলেন। তাঁরা ‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা, জিয়া’, ‘তারেক, রহমান’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’—এমন নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
বিএনপির নেতারা জানান, খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে নেতা-কর্মীদের যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে, তা দলের প্রতি তাঁদের আস্থার প্রমাণ। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কোথায় অবস্থান নেবেন, তা আগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যানজট বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুরো পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে এসেছেন তাঁর দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান। আরও এসেছেন খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকসহ ১৪ জন।
সকাল থেকেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়ক থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হন এবং তাঁরা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ উড়োজাহাজ (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) সকাল সাড়ে ১০টার পরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।