আগামী ৮ থেকে ১৪ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম ও টঙ্গী আর্চারি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। গত তিন আসরে বাংলাদেশের যেমন অর্জনের গল্প আছে, তেমনি রয়েছে কিছু না পাওয়ার বেদনা। তার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে দেশান্তরী হয়ে যাওয়া তারকা রোমান সানা, হাকিম আহমেদ রুবেল ও দিয়া সিদ্দিকীর অনুপস্থিতি। তবু আশাবাদী কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ ও আর্চার সাগর ইসলাম—তাদের বিশ্বাস, এবারও দারুণ কিছু হবে দেশের মাটিতে।
দেশের মাঠে প্রতিযোগিতা হওয়ায় আর্চারদের আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যাশা দুই-ই বেড়ে গেছে। আলিফ, সাগর ও বন্যারা আগামী শনিবার থেকে নেমে পড়বেন তীরধনুক হাতে। এবারের আসরে খেলা হবে দুটি ভেন্যুতে—জাতীয় স্টেডিয়াম ও টঙ্গীর আর্চারি স্টেডিয়াম। বছরজুড়েই টঙ্গীতে চলে আর্চারির ক্যাম্প, এখানেই প্রস্তুতির ফাঁকে ফ্রেডরিখ ফিরে দেখলেন গত তিন আসরের খেরোখাতা।
২০১৭ সালে প্রথমবার আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, তবে সেবার পদকশূন্যই ছিল দল। ২০২১ সালের আয়োজনে বাংলাদেশ জিতেছিল একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ। এরপর ২০১৯ ও ২০২৩ সালে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত আসরগুলোয় ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। ফ্রেডরিখের লক্ষ্য এবার সেই ২০২১ সালের সাফল্য ফেরানো।
তিনি বলেন, “নিজেদের মাঠে আমরা অবশ্যই ভালো করতে চাই এবং রোমাঞ্চ নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। আপনাদের মনে থাকবে, ২০২১ সালে আমরা তিনটি পদক পেয়েছিলাম। কিন্তু সর্বশেষ ২০২৩ সালে ব্যাংককে কিছুই পাইনি। কে আছে, কে নেই তা নিয়ে ভাবতে চাই না। আমি চাই, ২০২১ সালের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে।”
চার বছর আগের সেই সাফল্যে বড় ভূমিকা ছিল রোমান, রুবেল ও দিয়ার। উন্নত জীবনের টানে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন তারা তিনজনই। এবার তাই প্রত্যাশার ভার পড়েছে সাগর-আলিফদের কাঁধে। সহকারী কোচ নুরে আলমও ফ্রেডরিখের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বললেন, “রোমান যখন ছিল, তখনও আলিফ, সাগর, রুবেলদের নিয়েই দল গড়া হতো। রুবেল না থাকায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে, তবে নতুনরাও বিশ্বমানের। আশা করি, তারাও ভালো করবে।”
এরই মধ্যে রোববার (২ নভেম্বর ২০২৫) টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ লীগের ফাইনাল। চার লীগের পয়েন্ট যোগ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিমানবাহিনী, যারা জিতেছে দুটি স্বর্ণ। দুটি রুপা জিতে রানার্সআপ বিকেএসপি, আর যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে তীরন্দাজ ও আনসার দল।
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের দল:
রিকার্ভ পুরুষ দল: আব্দুর রহমান আলিফ, মো. সাগর ইসলাম, মো. রাকিব মিয়া, রামকৃষ্ণ সাহা
রিকার্ভ মহিলা দল: সিমা আক্তার শিমু, ইতি খাতুন, সোনালি রায়, মোসা. মনিরা আক্তার
কম্পাউন্ড পুরুষ দল: মো. আশিকুজ্জামান, হিমু বাছাড়, নেওয়াজ আহমেদ রাকিব, মো. সোহেল রানা
কম্পাউন্ড মহিলা দল: বন্যা আক্তার, পুষ্পিতা জামান, কুলসুম খাতুন, মিথিলা আক্তার
