সমাধানের পথ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, যে বিষয়গুলোয় অংশীজনদের দ্বিমত আছে, সেগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে; আর সেটা একটি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এটাই সমাধানের পথ বলে মনে করেন তিনি।

আজ রোববার সকাল ১০টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

সংলাপে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সবাই একমত হলে দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যথেষ্ট নয়, এর জন্য প্রয়োজন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি করা, গণতন্ত্রের চর্চা করা এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একত্র থাকা।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, “৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মতো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা চেষ্টা করেছেন, তাঁদের সবার কাছে আমাদের দায় রয়েছে।”

জোনায়েদ সাকি বলেন, “জনগণ যে মতামতের ওপর ভরসা রাখবেন, তাঁদের বিজয়ী করবেন। আর বিজয়ীরাই জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।”

তিনি বলেন, জনগণের ঐক্য তৈরি করা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনগণের মধ্যে পার্থক্য ও দ্বন্দ্ব থাকবেই; সেগুলো মীমাংসা করাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

আলোচনায় যতটুকু ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, তার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং নতুন বন্দোবস্তে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, “যারা ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছে, তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে শেষ পর্যন্ত পকেটে ঢুকিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন।”

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ, তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *