ভারত-পাকিস্তান আকাশযুদ্ধে পাঁচটি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে ভারত, ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ‘সবচেয়ে বড়’ বিমান যুদ্ধে ভারত পাঁচটি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, পাকিস্তানের এমন দাবির মুখে ভারতের বিমান বাহিনী বলেছে, “ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই অংশ।”
রোববার নয়া দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ার মার্শাল এ. কে. ভারতী ওই কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা একটি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আছি আর ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই অংশ।”

পরোক্ষভাবে ‘ক্ষয়ক্ষতির’ কথা শিকার করলেও তিনি জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের পর সব পাইলট বাড়িতে ফিরে এসেছে। তবে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

বুধবার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, তাদের পাইলটরা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এসব যুদ্ধবিমানের মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের সরবরাহ করা রাফাল ও অপর দু’টি রাশিয়ার তৈরি এসইউ-৩০ ও মিগ-২৯।

কিন্তু পাকিস্তানিদের এ দাবি নিশ্চিত করেনি ভারত।

কিন্তু বুধবারই ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের চারজন সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে জানান, তাদের অঞ্চলে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ পৃথক তিনটি এলাকায় পড়ে আছে।

সীমান্তের অপর পাশে পাকিস্তানে ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ‘সন্ত্রাসীদের নয়টি অবকাঠামোতে’ তারা হামলা চালিয়েছে, ভারত একথা জানানোর কয়েক ঘণ্টা পর কাশ্মীরের ওই কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছিলেন।

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার উয়ান এলাকায় বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের বড় বড় ধাতব ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।

তারা জানিয়েছিলেন, রাতে যুদ্ধবিমানগুলো কাশ্মীরের পৃথক এলাকায় পড়ে বিধ্বস্ত হয়। এসব বিমানের সব পাইলটকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উল্লেখ করা যায়, ভারত পাকিস্তানের লক্ষ্যস্থলগুলোতে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে হামলা শুরু করেছিল বলে জানা যায়।

বুধবার দুই দেশের জঙ্গিবিমানের সংঘর্ষে চীনের তৈরি একটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ফ্রান্সের তৈরি ভারতের দুটি জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, চীনের নির্মিত জে-১০ যুদ্ধবিমান দিয়ে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের পাইলটরা।

চীনের তৈরি পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এবং ফ্রান্সের তৈরি ভারতের রাফাল জঙ্গিবিমানের মধ্যে লড়াই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর জন্য নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যেসব দেশের বাহিনী ভবিষ্যৎ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সামরিক কৌশল নির্ধারণে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টায় আছে তাদের জন্য।

এ ঘটনাকে চীনের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান প্রযুক্তির জন্য বড় ধরনের মাইলফলক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা, বিশেষ করে তাদের উন্নত জঙ্গিবিমান প্রযুক্তির কার্যকারিতার দিক থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *