জুলাই আন্দোলনের শহীদের ১৭ বছর বয়সী কন্যা, যাকে গতকাল রাতেই রাজধানীর শেখেরটেক এলাকা থেকে আত্মহত্যার পর ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল, তাকে তার বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হবে। বৃদ্ধ দাদা নিজ হাতে প্রিয় নাতনির সমাধি খনন করছেন।
গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। আজ সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যে মরদেহ নিয়ে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
দাদার কণ্ঠে বেদনা: “জুলাইতে ছেলেকে হারালাম, মার্চে নাতনি ধর্ষণের শিকার হলো। ভেবেছিলাম সে বাঁচবে… কিন্তু সেও চলে গেল।” গতকাল সকালে নাতনির সঙ্গে শেষ কথোপকথনে জেলা প্রশাসকের সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু রাতেই আসে মর্মান্তিক খবর।
চাচার বর্ণনায়: “রাত ১১টায় আত্মহত্যা করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।” পরিবার ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্যদের নিয়ে লাশবাহী গাড়ি দুপুরে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দেয়।
পটুয়াখালী মেডিকেলের রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মিললেও, আসামিদের গ্রেপ্তার ও শিশু সংশোধন কেন্দ্রে প্রেরণ নিশ্চিত করতে পারেনি নিরাপত্তা। মেয়েটির মা স্মৃতিচারণ করেন কীভাবে জুলাই আন্দোলনে স্বামীকে হারানোর পর মার্চেই মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। ভিডিও ফুটেজের হুমকি দেওয়া আসামিরা এখন জেলে, কিন্তু ফিরে পায়নি ন্যায়বিচার।