ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের রায় বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের সামনে অবস্থান

ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের রিটের প্রেক্ষিতে দেওয়া রায় বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকাল থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করে এবং দুপুর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা জানিয়েছেন, এ দিন সারাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতেও বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান দুপুরে বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের পদোন্নতির রায়ের ওপর আপিল শুনানি হচ্ছে।

“আপিল বিভাগ ইতোমধ্যে রায়টি স্থগিত করেছেন। সেটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখন শুনানি হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। চূড়ান্ত রায় জানতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমাদের মানববন্ধন ও অবস্থান। আমরা আশা করি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায়টি বাতিল করবেন। আমরা সে অপেক্ষায় আছি।”

এর আগে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের পক্ষে করা রিটকে ‘কালো রিট’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন মাশফিক ইসলাম দেওয়ান।

ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ১৬ এপ্রিল থেকে জোরালোভাবে মাঠে নামেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি বাস্তবায়নে রূপরেখা তৈরিতে কমিটি গঠনের পর আন্দোলন স্থগিত করলেও পরদিনই তা প্রত্যাহার করে পুনরায় আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।

২৯ এপ্রিল থেকে তারা সব পলিটেকনিকে তালা ঝুলিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেন। পরে ৭ মে কর্মসূচি শিথিল করে ক্লাসে ফিরলেও ফরম পূরণ ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ:
• ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিল, পদবি পরিবর্তন ও মামলার সঙ্গে সম্পৃক্তদের চাকরিচ্যুত করা
• বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগবিধি বাতিল ও তদন্তসাপেক্ষে নিয়োগ বাতিল করা
• চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স অব্যাহত রাখা ও আধুনিক সিলেবাস প্রণয়ন
• উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি পাস শিক্ষার্থীদের আবেদন নিশ্চিত করা
• কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের পরিচালনায় নিয়োগ নিশ্চিত করা ও বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন
• উচ্চশিক্ষার জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন নিশ্চিত করা