গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জামায়াত নেতা ও সহকর্মী আটক, জুতার মালা পরিয়ে সোপর্দ

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় সমবায় সমিতির নামে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নেতাসহ দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন একদল গ্রাহক। তাঁদের গলায় জুতার মালা পরানো হয়। রোববার এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন মোকাদ্দেস আলী (৩৪) ও মিজানুর রহমান। মোকাদ্দেস আলী জামালপুর পৌর শহর শাখা জামায়াতে ইসলামীর আমির এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে। তিনি শহরের শেখেরভিটা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন এবং মাদারগঞ্জের আল আকাবা সমবায় সমিতির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ান এ ফ্যাশন’-এর ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। মিজানুর রহমান ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, তাঁর বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া গ্রামে।

ওই সমিতির গ্রাহক কামরুন্নাহার বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন এবং পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁদের ভবনের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে এবং গলায় জুতার মালা পরানো হয়েছে। পাশ থেকে অনেকেই তাঁদের কাছে টাকা দাবি করছেন।

পুলিশ ও গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বালিজুড়ি বাজারের ওয়ান এ ফ্যাশন দোকানের মালামাল সরানোর সময় গ্রাহকেরা তাঁদের আটক করেন এবং দোকানে বেঁধে রেখে অপমানজনক আচরণ করেন। শনিবার রাতে তাঁদের থানায় সোপর্দ করা হয়।

মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে আটজনের নামসহ একটি মামলা হয়েছে। আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।

জামায়াতের জামালপুর জেলা শাখার আমির আবদুস ছাত্তার বলেন, মোকাদ্দেস ওই সমিতির কিছু নন, শুধু দোকানের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন। তাঁর সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।