লিজাকে অব্যাহতির পর পাল্টা বহিষ্কার, চট্টগ্রামে বিভক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে

মুখপাত্র লিজাকে অব্যাহতি দেওয়ার এক দিনের মাথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে পাল্টা বহিষ্কার করেছে সংগঠনেরই একটি পক্ষ।
রোববার বিকালে যুগ্ম সদস্য সচিব রাহাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আরিফ মঈনউদ্দিন ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারী হেনস্তা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সংগঠন থেকে সর্বসম্মতভাবে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
“সাংগঠনিকভাবে আর কোথাও তারা পদ-পদবির পরিচয় দিলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সর্বসাধারণকে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হল।”
রাহাদুল ইসলাম বলেন, “ওরা দুজন নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আলোচনা করে না। শুধু সাইনিং পাওয়ার আছে বলে কাউকে পাত্তা দেয় না। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের গ্রুপে সিদ্ধান্ত নিয়ে দুজনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এ প্রসঙ্গে আহ্বায়ক আরিফ মঈনউদ্দিন বলেন, “একজন যুগ্ম সচিব কোনো আহ্বায়ক বা সদস্য সচিবকে বহিষ্কার করতে পারেন না। যিনি বহিষ্কার করেছেন, তার ছাত্রত্ব নাই এবং তাকে আগে বাদ দেওয়া হয়েছে কমিটি থেকে। তার বন্ধুকে (লিজা) বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সে এসব করছে”, অভিযোগ আরিফের।

অনৈতিক কাজ এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের অভিযোগে শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজাকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আহ্বায়ক আরিফ মঈনউদ্দীন ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “লিজার মাদক সেবন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি/ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় ১৪০০ শহীদ ও অর্ধলক্ষ আহতদের ওপর দাঁড়ানো এ প্ল্যাটফর্মের এমন অনিয়ন্ত্রিত ও অসামাজিক কার্যকলাপ জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। সে কারণে ফাতেমা খানম লিজাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

অভিযোগের বিষয়ে সেদিন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী লিজা বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মাদক সেবনের যে অভিযোগ এনেছে, সেটি দুই ঘণ্টার মধ্যে প্রমাণ করতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। অনিয়ন্ত্রিত জীবনের বিষয়টি বেইজলেস।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *