যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে

গাজায় ইসরায়েলের নতুন হামলাকে ‘অসহনীয়’ আখ্যা দিয়ে যুক্তরাজ্য দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনা স্থগিত করেছে। এছাড়া ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তাদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা তাকে হতবাক করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামি হাউজ অব কমন্সে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, “এই যুদ্ধ একটি নতুন অন্ধকার অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে।”

তিনি জানান, গাজায় মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ার বিষয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

**ইসরায়েলের অনড় অবস্থান, যুক্তরাজ্যের হুঁশিয়ারি**

লামি বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের অবরোধের কারণে মাত্র ১০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করেছে, যা ন্যাক্কারজনক। নেতানিয়াহু সরকার ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করছে এবং বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।” তিনি ইসরায়েলি জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনাদের সরকারের কর্মকাণ্ড আমাদের সম্পর্কের ক্ষতি করছে।”

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গাজায় হামলা অব্যাহত থাকলে এবং ত্রাণ প্রবেশে বাধা দূর না হলে যুক্তরাজ্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোর্সটেইন যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, “যুক্তরাজ্য ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থান নিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক ক্ষতি করতে চাইলে তা তাদের সিদ্ধান্ত।”

ইসরায়েল গত শুক্রবার গাজায় নতুন সামরিক অভিযান শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল পুরো গাজা দখল করবে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। আমরা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণেরও বিরোধিতা করি। প্রয়োজনে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *