উপদেষ্টার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। একইসঙ্গে তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত (ব্লক) করার আদেশও দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব শনিবার এ আদেশ দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

আবেদনে বলা হয়, মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।

দুদকের পক্ষে এই আবেদন করেন সংস্থার উপপরিচালক মিনু আক্তার সুমি। আবেদনে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশযাত্রা নিষিদ্ধ করা এবং এনআইডি ব্লক করা প্রয়োজন।

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন।

উপদেষ্টা হওয়ার পর নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু মোয়াজ্জেমকে সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি এপিএস হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির ও টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২১ এপ্রিল মোয়াজ্জেমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২৫ এপ্রিল উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি দুদককে সাবেক এপিএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে অনুরোধ করেছেন।

এরপর ২৭ এপ্রিল যুব অধিকার পরিষদ ‘মার্চ টু দুদক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে দুদকে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়। তারা উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিওদের দুর্নীতি তদন্তের দাবি জানায়।

সবশেষ বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *