সাংবাদিকের স্বল্প উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার স্থগিত ফারুকীর সংবাদ সম্মেলন

বাংলা একাডেমি সংস্কারের বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সংবাদ সম্মেলন দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত করা হয়েছে সাংবাদিকদের উপস্থিতি আশানুরূপ না হওয়ায়।

শনিবার দুপুর ২টায় বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে মাত্র পাঁচজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। পরে আরও দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করা হয়। কিন্তু উপস্থিতি না বাড়ায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার একই সময় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করার কথা ছিল, তবে সেদিন ‘অনিবার্য’ কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করা হয় এবং শনিবার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়।

অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময়ে মন্ত্রণালয় ও একাডেমির কর্মকর্তারা কয়েক দফা সভাকক্ষে এসে সাংবাদিকদের উপস্থিতির বিষয়ে তথ্য নিয়ে উপদেষ্টার দপ্তরে জানায়। দুপুর আড়াইটায় মহাপরিচালক জানান, সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে দুপুর ৩টায়। তবে সেই সময়েও উপস্থিতি না বাড়ায় তিনি সাড়ে ৩টায় এসে সংবাদ সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। এসময় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহা. খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মহাপরিচালক বলেন, “সাংবাদিক উপস্থিতি আশানুরূপ না হওয়ায় আজকেও দ্বিতীয়বারের মতো সংবাদ সম্মেলনটি স্থগিত করতে হচ্ছে। পরে নতুন তারিখ জানানো হবে।”

সাংবাদিক উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ

উপসচিব খালিদ হোসেন জানান, উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনের আমন্ত্রণ জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। তবে উপস্থিত সাংবাদিকদের কেউ কেউ বলেন, তারা আমন্ত্রণ পাননি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এক সাংবাদিক জানান, “সংবাদ সম্মেলনের কথা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়নি, অন্য মাধ্যমে জানতে পেরে আমি এখানে এসেছি। দেখলাম অধিকাংশ সংস্কৃতি বিটের সাংবাদিকরাই কিছু জানেন না।” তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের বেশিরভাগ সংবাদ সম্মেলন সচিবালয়ে আয়োজিত হয়, যেখানে সংস্কৃতি বিটের সাংবাদিকদের নিয়মিত জানানো হয় না, ফলে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এরই প্রতিফলন ঘটেছে এ আয়োজনেও।

এসময় অপর এক সাংবাদিক সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা এবং অসহযোগিতার কথাও তুলে ধরেন। জবাবে উপসচিব জানান, তিনি বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে অবহিত করবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টার সঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার পর দীপ্ত টিভির বুলেটিন কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় এবং তিনজন সাংবাদিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পরে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সরকার চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করতে বলেনি। ঘটনাটি চ্যানেলের নিজস্ব সম্পাদনা নীতির আলোকে ঘটেছে। এরপর ফারুকী ফেইসবুকে এক পোস্টে জানান, চাকরি চলে যাওয়ার বিষয়টি তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বরং প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতির বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *