- জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার বিকাল ৪টার দিকে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এ হামলার ঘটনায় ছাত্রজোটের ছয়জন আহত হয়েছে। এ হামলার জন্য তারা ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছে।
তবে সন্ধ্যায় ছাত্রশিবির এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বিবৃতিতে বলেছে, সেখানে শাহবাগপন্থি ও শাহবাগবিরোধী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
জামায়াত নেতা আজহারকে খালাস দেওয়া এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচি ডেকেছিল বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকাল ৪টার দিকে কর্মসূচি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকেই প্রেস ক্লাব চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ব্যক্তি ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
এ হামলার জন্য জোটভুক্ত সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নগর কমিটির সভাপতি দীপা মজুমদার বলেন, “যুদ্ধাপরাধের মামলায় আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার প্রতিবাদে আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেলে এক হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”
এ হামলা কারা করেছেন জানতে চাইলে দীপা মজুমদার বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে ছাত্রশিবির হামলা করেছে। সেই হিসেবে তারাই চট্টগ্রামে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”
আহতদের মধ্যে দীপা মজুমদার ছাড়া গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত বিশ্বাসের নাম জানা গেছে।
এদিকে এ হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক।
সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, “চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে শাহবাগপন্থি ও শাহবাগবিরোধী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িয়ে একটি পরিকল্পিত ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ছাত্রশিবির একটি আদর্শনিষ্ঠ ও শান্তিপ্রিয় ছাত্রসংগঠন, যা দেশের শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ একটি মহল নিজেদের অন্যায় অনাচার আড়াল করতে অথবা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্যে শিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে।”
কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছাত্রশিবির জড়িত ছিল না দাবি করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।