বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ নিউ মার্কেট এলাকা, দিনের শেষে পানিবন্দি সড়ক

নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীতে যে অতি ভারি বৃষ্টি হয়েছে, তার পানি দিনভর জমে ছিল নিউ মার্কেট এলাকায়।

শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরের গলিতে এখনো পানি জমে আছে। ১ নম্বর গেটের কাছে একটি পাম্প বসিয়ে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন মার্কেটের কর্মীরা।

এক দোকানের বিক্রয়কর্মী হেলাল উদ্দিন বলেন, “বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় পানি জমে যায়। আমাদের মার্কেটেও পানি ঢুকে পড়ে। ভাগ্য ভালো, সবসময় পাম্প চালু থাকে। না হলে মালপত্র ভিজে যেত।”

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ।

বিকাল ৪টার সময়ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নূর জাহান শপিং কমপ্লেক্স, বদরুদ্দোজা শপিং সেন্টারের সামনে মিরপুর রোড এবং নায়েম রোডে পানি জমে থাকতে দেখা যায়।

বৃষ্টির কারণে ক্রেতা সংখ্যা কমে গেছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।

আল মুজাহিদ নামে এক বিক্রেতা বলেন, “পানির কারণে কাস্টমার আসছে খুব কম। ঈদের আগে এমন আরও বৃষ্টি হলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।”

ঢাকার মিরপুর থেকে আসা শাফায়েত হোসেন বলেন, “ঈদের জন্য কিছু কেনাকাটা ছিল। এজন্য এসেছিলাম। কে জানত এদিকে সব নদী হয়ে গেছে।”

সকাল থেকে পানি সরানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। তারা জানান, সকালবেলা আশপাশের গলিতেও পানি ছিল। এখন কেবল মিরপুর রোড ও নায়েম রোডে পানি জমে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলেন, “২০১৫ সাল থেকেই এখানে সমস্যা চলছে। স্থায়ী সমাধান না হলে আমরা আর কত পানি তুলব?”

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, “আগে ওই এলাকার বৃষ্টির পানি পিলখানার ভেতরের একটি নালার মাধ্যমে চলে যেত। বিডিআর বিদ্রোহের পর সেই নালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেদিকে পানি যেতে পারছে না।

“আমরা আপাতত রাস্তার পানি সরানোর চেষ্টা করছি। নিউ মার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে একটি স্থায়ী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যেটি যাচাই-বাছাই চলছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *