‘ন্যূনতম ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে আগামী মাসেই ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।
তিনি জানান, সময় স্বল্পতার কারণে আলোচনার মাধ্যমে একটি উপসংহারে পৌঁছাতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন বিষয় সনদে থাকবে, আর কোনটি থাকবে না।
আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনায় যেসব বিষয়ে একমত হওয়া যাবে না, সেগুলোর কথাও লিখিতভাবে উল্লেখ থাকবে—যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে কিন্তু ঐকমত্য হয়নি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই কাঠামোর আলোকে জাতীয় সনদ প্রণয়নে অগ্রসর হওয়া যাবে।
মঙ্গলবার সকালে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপারপাস হলে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে আলোচ্য বিষয় হিসেবে ছিল সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, জাতীয় সংসদের নারী আসন, স্থায়ী কমিটিসমূহ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যকারিতা।
আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও আলোচনার ভিত্তিতে কী পরিবর্তন এসেছে, তা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সব বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত সম্ভব নয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আলী রীয়াজ। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
বৈঠকে বিএনপির ইসমাইল জবিহউল্লাহ, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিক পার্টির সারবিস আলম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, এলডিপির চৌধুরী হাসান সোরওয়ার্দী, বিএলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ আলী আকনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আলী রীয়াজ জানান, ঈদের আগে দ্বিতীয় পর্বের এই সংলাপের আর কোনো সভা হবে না। ঈদের ছুটির পর আলোচনা আবার শুরু হবে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় পর্বের এই সংলাপের উদ্বোধন করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।