বিসিএস পরীক্ষার জট নিরসনে সময়সূচি প্রকাশ করল পিএসসি

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৪তম থেকে ৪৮তম বিসিএস পরীক্ষাসমূহ ঘিরে তৈরি হওয়া জট নিরসনে একটি সময়সূচি ঘোষণা করেছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, ৩০ জুন ৪৪তম বিসিএস, ২২ সেপ্টেম্বর ৪৮তম বিশেষ বিসিএস এবং ১০ ডিসেম্বর ৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

এছাড়া ১৯ জুন ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল, ২৮ সেপ্টেম্বর ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল এবং ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।

কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যেসব প্রার্থীর একইসঙ্গে ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ও ৪৬তম বা ৪৭তম বিসিএসের অন্য কোনো পরীক্ষা রয়েছে, তাদের ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার এক মাস আগে বা পরে নেওয়া হবে, যাতে কোনো ওভারল্যাপ না ঘটে।

সরকারি চিকিৎসক সংকট বিবেচনায় ৪৮তম বিশেষ বিসিএসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২৭ মে গেজেট প্রকাশের পর ২৯ মে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এই বিসিএসের এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা হবে ১৮ জুলাই এবং ফল প্রকাশ হবে ২১ জুলাই। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ২২ সেপ্টেম্বর।

৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৯ সেপ্টেম্বর এবং লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ নভেম্বর থেকে। নিয়মিত বিসিএসের ক্ষেত্রে, বিজ্ঞপ্তির দুই মাস পর প্রিলিমিনারি এবং প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশের দুই মাস পর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।

তবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘অনিবার্য কারণে’ নির্ধারিত সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে, তবে বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।

এছাড়া, আগামী ১ নভেম্বর ৪৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং ওইদিন থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।

২০২১ সালে প্রকাশিত ৪৭তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা প্রথম দফায় শুরু হলেও গত ১৮ নভেম্বর তা বাতিল করা হয়। পরে ২২ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় শুরু হয়।

২০২৪ সালের ৮ মে প্রথম দফার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়, তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সরকার পতনের কারণে তা স্থগিত করা হয়।

প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ৯৩০ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন, যদিও অংশগ্রহণের কথা ছিল ১১ হাজার ৭৩২ জনের। ন্যায্যতা রক্ষায় প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ২০২৩ সালের ১৯ মে, যাতে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। ফল প্রকাশ হয় ৬ জুন।

১২ হাজার ৭৮৯ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় বসেন, যা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এখনও ফল প্রকাশ হয়নি। সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয় এবং প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ২০২৪ সালের ২৬ এপ্রিল। এতে অংশগ্রহণ করেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ জন। ৯ মে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৩৮ জন।

প্রথমে ২৮ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার সময় নির্ধারিত থাকলেও অস্থির পরিস্থিতির কারণে ২৫ আগস্ট তা স্থগিত করা হয়। পরে প্রথম দফায় উত্তীর্ণদের সঙ্গে সমান সংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করে নতুন ফল প্রকাশ করা হয়।

২৭ নভেম্বর নতুন ফলাফলে মোট উত্তীর্ণ হন ২১ হাজার ৩৯৭ জন।

৪৭তম বিসিএসের জন্য ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার ও ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে ৮ আগস্ট।

১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় অনলাইনে আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা ৯ ডিসেম্বর স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ২৬ ডিসেম্বর সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়, ফলে মোট নম্বর দাঁড়ায় ১০০০। আবেদন শুরু হয় ২৯ ডিসেম্বর এবং চলে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *