আগামী আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
মঙ্গলবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারে স্বস্তি আসায় মূল্যস্ফীতি কমবে। মূল্যস্ফীতি কমলে সুদহারও কমানো হবে।
তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতির বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিনিময় হার। এটা কমাতে না পারলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ত। এখন এটা স্বস্তিতে এসেছে। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরও তেমন পরিবর্তন হয়নি। এতে করে আস্থা এসেছে, মূল্যস্ফীতি একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছে।”
গত কয়েক দিনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে গভর্নর বলেন, খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা সাড়ে ৮ শতাংশের কিছুটা উপরে আছে।
তিনি আরও বলেন, “খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি সব সময় খাদ্য মূল্যস্ফীতির চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকে। এ কারণে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি, যেটা সাড়ে ১২ শতাংশ ছিল, সেটা সোয়া ৯-এর দিকে এসেছে। এটা আরও কমবে বলে আমরা আশাবাদী।
“বিশ্ববাজারে খাদ্য, তেল-গ্যাসের দাম বাড়বে না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাম কমবে। ফলে সেখানে একটা পজিটিভ প্রভাব পড়বে। সব মিলিয়ে আমরা আশাবাদী, আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।”
সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ, যা ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
মূল্যস্ফীতির হার এর চেয়ে কম ছিল সবশেষ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এরপর থেকেই চড়তে থাকে মূল্যস্ফীতির হার, যা আর ৯ শতাংশের নিচে নামেনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, অর্থ সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।