চলতি হজে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯, হিট স্ট্রোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ

চলতি বছরে হজ পালন করতে গিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে পৌঁছেছে। গেল কয়েকদিনে মক্কা ও মদিনায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হাজিদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে দিনের বেলায় বাইরে চলাচল না করার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, শনিবার বরগুনা সদর এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া বেগম মক্কায় অবস্থানকালে মারা যান। ৬২ বছর বয়সী রোকেয়া সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ১ জুন মক্কায় পৌঁছান।

এ বছর এখন পর্যন্ত হজে গিয়ে ২৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী মারা গেছেন। এর মধ্যে মক্কায় ১৯ জন, মদিনায় ৯ জন এবং আরাফায় ১ জন মারা গেছেন।

এছাড়া সৌদি আরবের সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৯ জন হাজি চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বছর ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হয়। হজ শেষ হলেও এখনও অনেক হজযাত্রী সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ধর্ম মন্ত্রণালয় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জিয়ারাসহ বাইরে চলাচল এড়িয়ে চলতে অনুরোধ জানিয়েছে।

এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গেল কয়েকদিনে মক্কা ও মদিনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র গরম ও উত্তপ্ত আবহাওয়ার কারণে বাইরে বের হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

গত কয়েকদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে হাজিদের বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তবে এ বছর হজে মৃতের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কম। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে হজে গিয়ে মারা যান ৬৫ জন, আর ২০২৩ সালে মারা যান ১২১ জন।

দেশে ফিরেছেন ২০ হাজার ৫০০ জন হাজি

হজ শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ২০ হাজার ৫০০ জন হাজি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ২০৭ জন, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের ২০টি ফ্লাইটে ৭ হাজার ৮৭৩ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৪২০ জন দেশে ফিরেছেন।

এ বছর হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয় ১০ জুন, যা শেষ হবে ১০ জুলাই।