ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা তৃতীয় দিনে, নিহত বেড়েই চলেছে

ইরান থেকে আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে ইসরায়েলের দিকে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নতুন করে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত হওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।

ইসরায়েলের বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত ও হুমকি মোকাবিলায় পাল্টা অভিযান চালাচ্ছে। নাগরিকদের সেনাবাহিনীর দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইরানের রাজধানী তেহরানও বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে।

শুক্রবার ইরানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তাদের দাবি, ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা হারায়—এই লক্ষ্যেই হামলা চালানো হয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। এতে উভয় পক্ষেই বেসামরিক নিহতের ঘটনা ঘটছে। শনিবার রাতে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হন।

অন্যদিকে, ইরানে ইসরায়েলের হামলায় দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার মধ্যদুপুরের মধ্যে ১২৮ জন নিহত ও প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের হামলা চলতে থাকলে আরও কঠোর জবাব দেওয়া হবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইরানের হামলায় ইসরায়েলি নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য তেহরানকে চরম মূল্য দিতে হবে।

রোববার তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে এই সংঘাত। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, দুই পক্ষের উচিত একটি চুক্তি করা। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ইরান ও ইসরায়েল চুক্তি করবে এবং তিনি সেটি ঘটাবেন।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন উত্তেজনা ও সংঘাত প্রশমনে ভূমিকা রাখছেন বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ থামাতে এবং ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ বন্ধ করতেও যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করছে। সেই দুটি যুদ্ধ চলমান থাকলেও ইরান-ইসরায়েলের লড়াইয়ে শান্তি শিগগিরই আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

“অনেক ফোনকল, বৈঠক চলছে। আমি অনেক আলোচনা করছি,” বলেন ট্রাম্প। “কোনও কিছুর জন্যই কখনও কৃতিত্ব পাইনি। তবে ঠিক আছে, মানুষ বোঝে।”